বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।
বিদেশি ছাত্র ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার পর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে হোয়াইট হাউস এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হল।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি। বোস্টন আদালতে দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
এর আগে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হার্ভার্ড আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। বর্তমানে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন, তাদের অবশ্যই স্থানান্তর করতে হবে। না হলে তারা আইনগত বৈধতা হারাবেন।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কাটছাঁট শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় সাত হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন। এটি গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি মোট শিক্ষার্থীর ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।
সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড বলেছিল, এটি বেআইনি পদক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জেসন নিউটন বলেন, ‘আমরা আমাদের সদস্যদের দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দেওয়ার জন্য দ্রুত কাজ করছি। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ডের সদস্য ও আমাদের দেশের জন্য গুরুতর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে।’
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কাটছাঁট শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈষম্যমূলক ‘গভীর সমস্যায়’ জর্জরিত উল্লেখ করে এরই মধ্যে তাদের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে তার প্রশাসন। বিষয়টি আদালতে তুলেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।